যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীর দোকানে দুই দফা তালা মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার হাতেমপুর বাজারের মুদি দোকানি আবদুল খালেক মৃধা তাঁর দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। একটু দূরে সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফাইজুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ফাইজুর তাঁকে দোকান খুলে সিগারেটের প্যাকেট দিতে বলেন। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে আবদুল খালেক অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর বাড়ি চলে যান। সন্ধ্যার পরে তিনি ফিরে এসে দোকানে অতিরিক্ত আরেকটি তালা দেখতে পান। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. হেলাল কাজিকে জানান। কিছুক্ষণ পরই ফাইজুর রহমান তাঁর চার-পাঁচজন সহযোগী নিয়ে ওই দোকানে আসেন। এ সময় ফিরোজ বলেন, দোকানে অবৈধ মালামাল রয়েছে। এ জন্য তিনি তালা মেরেছেন। তালা খুলতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। পরে ইউপি সদস্য হেলাল কাজি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ওই দোকানের তালা ভেঙে দেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আবারও তালা লাগিয়ে দেন ফাইজুর। আবারও তালা ভেঙে দেন ইউপি সদস্য হেলাল কাজি।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. হেলাল কাজি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুবার তালা ভেঙে দিলে ফাইজুর ও তাঁর লোকজন ব্যবসায়ী আবদুল খালেককে হুমকি দেন।’

ব্যবসায়ী আবদুল খালেক মৃধা বলেন, ‘তালা ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আমি ভয়ে আছি।’

চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ফাইজুর রহমান বলেন, ওই দোকানে অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল থাকায় তালা মারা হয়েছে।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে তাঁকে জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

পাথরঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।