সরকার নীলনকশার নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী
রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইসি ও সরকার যৌথভাবে একতরফা ও নীলনকশার নির্বাচনের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তাদের কার্যক্রমে এটি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে’—ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জনগণের কাছে আগে থেকেই একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি কুমিল্লার ডিসি থাকতে সরকারি আইন ভেঙে ‘জনতার মঞ্চে’ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে তাঁর নিজ এলাকা পটুয়াখালী-বাউফলে আওয়ামী লীগের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সিইসি হিসেবে যোগদানের পর তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি।
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা সরকারি ব্যয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা নির্বাচনী আইন পরিপন্থী। অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও বাধা দিচ্ছে সরকার। বিএনপির ঘরোয়া সভাতেও পুলিশ ও সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনাদের অধীনে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি। সুতরাং আগামী সংসদ নির্বাচন দলনিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে করতে এগিয়ে আসুন।’
রিজভী অভিযোগ করেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় সরকার সাংবাদিকদের নির্যাতন করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও হেলাল উদ্দিন নামের একজন সিনিয়র সাংবাদিককে ৫৭ ধারায় আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়। তিনি দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক বিধানসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবি জানান।