খানাখন্দে পানি জমে জনদুর্ভোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের অদূরে ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কের অবস্থা বেহাল। গত বৃহস্পতিবার তোলা ছবি l প্রথম আলো
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের অদূরে ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কের অবস্থা বেহাল। গত বৃহস্পতিবার তোলা ছবি l প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কে বহু খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় পথচারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

 গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে পৌরসভার ভানুগাছ বাজারের ওষুধের দোকানি আবদুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি চা-বাগানের যানবাহন ও মাধবপুর লেকে যাতায়াতকারী পর্যটকদের গাড়ি এই পথে চলাচল করে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহকমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং মাধবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এই পথে যাতায়াত করে থাকে। গত দেড় বছরে ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কের শুরুতে কমপক্ষে ২০টি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত চৈত্র মাস থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির পানি খানাখন্দে জমে থাকছে। ভানুগাছ বাজার এলাকায় ১ হাজার গজসড়ক বেহালের কারণে ব্যবসায়ও মন্দা দেখা দিয়েছে। কারণ, দোকানপাটে ক্রেতা কম আসছেন।

এই এলাকায় অবস্থিত ভানুগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছন্দা বেগম রাস্তার খানাখন্দ ও ময়লা পানির কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রায়ই তাঁর বিদ্যালয়ের কোনো না কোনো শিক্ষার্থী ময়লা পানিতে পড়ে জামাকাপড় ও বই ভিজিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।       

ভানুগাছ চৌমুহনী থেকে মাধবপুর বাজার পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সাত কিলোমিটার পথের মধ্যে অর্ধশতাধিক স্থানে খানাখন্দরয়েছে। ফলে কোনো যানবাহন এই পথে স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না।

কমলগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী মো. বেলাল চৌধুরী বলেন, সড়কটি এলজিইডির অধীন। তাই এই সড়কের উন্নয়ন বা সংস্কারের বিষয়টি তারা দেখবে। তিনি আরও বলেন, ভানুগাছ বাজারের ১০ নম্বর গলিপথ থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তার অবস্থাও বেহাল।

কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ বলেন, গত দেড় বছরে তিনি পৌরসভার তহবিল থেকে চারবার গর্ত ভরাট করেছিলেন। অধিক হারে যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি আবারও ভেঙে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এখানে পানিনিষ্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই পৌরসভার জলবায়ু তহবিল থেকে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পানিনিষ্কাশনের নালা নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নালা নির্মাণ হয়ে গেলে ও এলজিইডি ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কের উন্নয়নকাজ করে নিলে এ সমস্যা আর থাকবে না। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কিরণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ইতিমধ্যেই ভানুগাছ চৌমুহনী থেকে মাধবপুর বাজার পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঢাকার ডলি ইন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এখনো কাজ শুরুর অনুমতি পায়নি। সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্থ। নতুন কাজ শুরু হলে প্রশস্থতা বেড়ে ১৮ ফুট হবে।