মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামে গত শনিবার অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বড়ি বিক্রির অভিযোগে আফজাল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠেছে। তবে আফজালকে এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি।

আফজালের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে রংপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ অঞ্চলের পরিদর্শক আবদুর রহিমের নেতৃত্বে পাঁচগাছি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আফজালকে বাড়ি থেকে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন। এ সময় আফজালের মুঠোফোন (০১৭৫৩৩৬৬২৫৩) থেকে তাঁর ফুফাতো ভাই এমদাদুলের (০১৭২২৫৭৭৮৭১) নম্বরে ফোন করে পরিদর্শক রহিম ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চান। এই টাকা দিলেই আফজালকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এমদাদুল বলেন, আফজালকে ছাড়াতে রহিমের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় দফারফা হয়। পরে তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার দেওয়া নম্বরে (০১৭৯২৯৯৮৯২৮) বিকাশের মাধ্যমে ওই দিন রাতেই রংপুরের মিঠাপুকুরের পদ্মপুকুর বাজারের বিভিন্ন বিকাশ ব্যবসায়ীর কয়েকটি নম্বর থেকে মোট ২৫ হাজার টাকা পাঠান। ২৫ হাজার টাকা পাঠানোর পরই বিকাশ নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে আফজালকে তাঁরা ছেড়েও দেননি। তিনি দাবি করেন, আফজাল ইয়াবা ব্যবসায়ী নন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি কৃষিকাজ করেন।

আফজালের বৃদ্ধা মা ফজিলাতুন্নেছা বেগম বলেন, ‘আফজালকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি ওদের (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা) পা ধরে কেঁদেছি। আমাকে লাথি মেরেছে। আমার ছেলে মদ খায় না, বিক্রিও করে না। এটা গ্রামের সবাই জানে।’

পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আফজালকে আটটি ইয়াবা বড়িসহ আটক করার অভিযোগে শনিবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রহিম বাদী হয়ে মাদক আইনে থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকেই তদন্ত করা হবে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।’

তবে অভিযুক্ত রহিম রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, ‘টাকা নেব কেন? এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। আফজাল একজন মাদক ব্যবসায়ী। ইয়াবা বড়িসহ তাঁকে হাতেনাতে আটক করে থানায় মামলা করেছি।’