মওদুদের দুর্নীতি মামলার আদালত বদল

মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি
মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বদলির জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে যৌক্তিক কারণ ছাড়া শুনানি মুলতবি না করে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ওই মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে বিএনপির এই নেতার করা আবেদনও সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মওদুদ আহমদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে মওদুদের আবেদনের পক্ষে মওদুদ আহমদ নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ছয় মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদনটিও খারিজ হয়েছে। মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালত গত ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এই অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ও মামলাটি অন্য আদালতে বদলির জন্য নির্দেশনা চেয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পৃথক আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। যার ওপর শুনানি শেষে আজ আদেশ হয়।

২০০৭ সালের ২৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকা মূল্যের তথ্য গোপন করেন মওদুদ আহমদ। এ ছাড়া ৭ কোটি ৩৮ হাজার ২৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদ তাঁর জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দুদকের উপপরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০০৮ সালের ১৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।