বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে মানুষ

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের প্রায় এক কিলোমিটার অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত রোববার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের ধাক্কায় বেড়িবাঁধের হন্দারবিল, উত্তর রাজঘাট, দক্ষিণ রাজঘাট ও ষাইটপাড়া অংশে নতুন করে এ ভাঙন দেখা দেয়।

ইতিমধ্যে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে কয়েকটি গ্রামে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), কক্সবাজার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর না যেতেই বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। ২০০৪ সালে প্রায় এক কিলোমিটার বাঁধ সাগরে বিলীন হয়ে যায়। পরে ২০০৫ সালে ভেঙে যাওয়া বাঁধটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু এক বছর ধরে আবারও বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ বিলীন হয়ে যায়। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই আবার ভাঙছে বাঁধ।

গত সোমবার বেলা দেড়টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের হন্দারবিল এলাকায় বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে ভাঙা অংশ দিয়ে। পাশাপাশি দক্ষিণ রাজঘাটে ১০০, উত্তর রাজঘাটে ২০০ ও ষাইটপাড়ায় প্রায় ৫০০ মিটারের মতো বাঁধ ভেঙেছে।

চারটি স্থানের ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে দক্ষিণ মগডেইল, সাইরারডেইল, মাইজপাড়া, বিলপাড়া, ফুলজানমোরা, মাঝেরডেইল, দক্ষিণ রাজঘাটের প্রায় এক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।

মাঝেরডেইল এলাকার বাসিন্দা ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমে ষাইটপাড়ার বেড়িবাঁধের ওপর নির্ভর করে পুরো এলাকা। এতে নতুন করে আবারও বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে আছে এলাকার মানুষ। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, এলাকা রক্ষা করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি মেরামত করতে স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও পাউবোর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাউবোর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে ভেঙে যওয়া বেড়িবাঁধ কয়েক দিনের মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী শুষ্ক মৌসুমে মাতারবাড়ীতে স্থায়ীভাবে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।