ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে নিহত

ফরিদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আজ রোববার বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুকুরিয়া-সদরপুর আঞ্চলিক সড়কে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাবা পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদ (৫২) ও মেয়ে দীপা আক্তার (৩২)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, পুলিশ কনস্টেবল হারুনের কর্মস্থল গোপালগঞ্জে। তবে ছুটিতে তিনি মানিকদহ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। নিহত দীপা বিবাহিত। তাঁর স্বামী একই ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের আইউব আলী ব্যাপারী। তাঁর সাত বছরের এক মেয়ে ও পাঁচ বছরের এক ছেলে আছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পারুলী আক্তারী জানান, হারুন তাঁর মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে সদরপুর যাচ্ছিলেন। পথে পুকুরিয়া-সদরপুর আঞ্চলিক সড়কের মানিকদহ গ্রামের সিরাজ হাবিলদারের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হারুন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে একটি বৈদ্যুতিক খাম্বার সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দীপা নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় হারুনকে প্রথমে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে  ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস হোসেন বলেন, পুলিশ কনস্টেবল হারুন অর রশিদ মুকসুদপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস আগে তিনি গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনসে যুক্ত হন। গত কিছুদিন তিনি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। বর্তমানে তিনি মেডিকেল ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।