ফটিকছড়িতে ফুটবল খেলা নিয়ে মারামারি, আহত ১৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ফুটবল খেলার জয়-পরাজয় নিয়ে মারামারিতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার দৌলতপুরের এবিসি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ওই মাঠে গতকাল ছিল ৪৬তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নাজিরহাট জোনের ফাইনাল খেলা। খেলায় আজিমনগর আহমদিয়া-রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও দৌলতপুর গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয় পায় আজিমনগর আহমদিয়া-রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়। খেলা শেষে দুপক্ষের উত্তেজিত সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়, পরে মারামারিতে জড়ায়।
আজিমনগর আহমদিয়া-রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক ও ১২ জন খেলোয়াড় আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন শিক্ষক শামিমুল হাসান (৪৫), জামিল উদ্দিন (৩২), আবদুল লতিফ (২৮) খেলোয়াড় জাবেদুল ইসলাম (১২), মাসুদ (১৫), আজাদ (১৫), মো. এমরান (১৪), জবিউল হোসেন (১৫), মো. ইকবাল (১৩), আবু তাহের (১৪), ইনজামাম হক (১৪), এমরান হোসেন (১৪), আবু কায়সার (১৫), মুহাম্মদ ফারহান (১৪) ও মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (১৭)।
এর মধ্যে শামিমুল, জাবেদুল ও মাসুদকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
আহত শিক্ষক শামিমুল হাসান বলেন, গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও তাঁদের পক্ষের দর্শকেরা খেলা শেষ হওয়া মাত্র অতর্কিতে হামলা চালায়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গিয়ে উভয় পক্ষকে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ প্রসঙ্গে গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, জয়-পরাজয় নিয়ে দুই বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। যা কারও কাম্য ছিল না। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
আজিমনগর আহমদিয়া-রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘অন্যায়ভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও খেলোয়াড়দের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। আমরা বিষয়টি থানা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ইউসুফ মিয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।