নারী শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের হেলাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহানকে মারধর করার ঘটনায় পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে নুসরাত জাহানের স্বামী আবদুস সালাম বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এখনো মামলার আসামি মাজহারুল আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত বুধবার বিকেলে পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নুসরাত জাহানকে মারধর করেন মাজহারুল আনোয়ার। এতে নুসরাতের ডান হাতের আঙুল ভেঙে যায়। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

গতকাল সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাজহারুল আনোয়ার বিদ্যালয়ে যাননি। পরে তাঁর মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি মামলার ভয়ে পলাতক নই। ছুটিতে আছি।’ মাজহারুল আনোয়ারের স্ত্রী রোজী সুলতানা একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। গতকাল সোমবার তিনিও বিদ্যালয়ে যাননি।

গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুয়েল আশরাফ বলেন, তাঁরা দুজনেই (মাজহারুল ও রোজী সুলতানা) ছুটির আবেদন দিয়েছেন।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহাম্মেদ বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই ফেরদৌস মাস্টার পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।