খেলোয়াড়, শিক্ষক লাঞ্ছিত প্রতিবাদে বিদ্যালয়ে তালা

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে গত রোববার ৪৬তম জাতীয় আন্তবিদ্যালয় ফুটবল খেলায় পরাজিত দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের মারধর ও ক্রীড়াশিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার বিজয়ী দলের খেলোয়াড় ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উজ্জলকোঠা উচ্চবিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ডাকবাংলা মাঠে ফুটবলের ফাইনাল খেলায় রোববার উজ্জলকোঠা উচ্চবিদ্যালয় ২-০ গোলে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, পরাজয়ের জের ধরে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়েরকয়েকজন বহিরাগত ছাত্র রোববার বেলা আড়াইটার দিকে পীরগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে উজ্জলকোঠা উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করে। বিকেল পাঁচটার দিকে পীরগঞ্জ পূর্ব চৌরাস্তায় উজ্জলকোঠা উচ্চবিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের ওপর তারা দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। এ সময় তারা ওই বিদ্যালয়ের ক্রীড়াশিক্ষক উত্তম কুমার রায়কেও লাঞ্ছিত করে।

এ ব্যাপারে উজ্জলকোঠা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

উজ্জলকোঠা উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আহতসহ অন্য খেলোয়াড়েরা গতকাল সকালে বিদ্যালয়ে যায়। কিছু অভিভাবকও বিদ্যালয়ে আসেন। মারধরে আহত এবং সাধারণ খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিসসহ সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় ছাত্ররা বিভিন্ন স্লোগানও দেয়। ঘটনা জানতে পেরে গতকাল দুপুরে ইউএনও এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার তাঁর সভাকক্ষে জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা শাহনাজ, পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মফিজুল হক, উজ্জলকোঠা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রশিদ, লোহাগাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক, খনগাঁও বিশ্বাসপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দসহ ১৩-১৪ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।