৯ দিনেও সচল হয়নি সড়কটি

পাহাড়ি ঢল ও পাহাড়ধসে দ্বিতীয় দফা অচল হওয়ার নয় দিন পরও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে। এই সড়কের এক স্থানে বড় ভাঙন ধরেছে এবং আরেক স্থানে মাটি সরে গেছে। সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই অংশের মধ্যে একটি অংশে মাটি ফেলা হয়েছে। বাকি অংশ মেরামত হয়নি এখনো। সড়ক মেরামতে ধীরগতির কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির হাজারো যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই পাহাড়ি ঢল ও পাহাড়ধসে রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে দ্বিতীয় দফা যোগাযোগ বন্ধ হয়। সেই সময় প্রবল বৃষ্টিতে রাঙামাটি শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে সড়কের খামারপাড়া এলাকায় অন্তত ৬০ ফুট অংশে ভাঙন ধরে। এর দুই কিলোমিটার দূরে মোনতলা কিজিং এলাকায় সড়কের মাটি সরে যায়। এর আগে গত ১৩ জুনের প্রবল বৃষ্টিতে এই সড়কের প্রায় ৪২টি স্থানে ধস ও ভাঙন ধরেছিল। তখনো ৩৩ দিন বন্ধ ছিল সড়ক যোগাযোগ।

 গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের ভাঙন এলাকার দুই পাশে অর্ধশত যানবাহন আটকা পড়েছে। ভাঙন এলাকাটি যাত্রীরা হেঁটে পার হচ্ছে। সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশ—মোনতলা কিজিং এলাকায় সংস্কারকাজ করছিলেন সওজের শ্রমিকেরা। এর আগে ১৬ কিলোমিটার অংশ—খামারপাড়া এলাকায় ভাঙন ভরাটের কাজ হয়েছে বলে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান। তবে মোনতলা অংশের কাজ কবে শেষ হবে, তা তাঁরা বলতে পারেননি।

সড়কের মোনতলা কিজিং পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে আসা অটোরিকশাচালক সুরবিন্দু চাকমা বলেন, যাত্রীরা সড়কের ভাঙা স্থান—মোনতলা পর্যন্ত অটোরিকশায় এসে নেমে যাচ্ছে। এরপর ভাঙা অংশ হেঁটে পার হচ্ছে। মোনতলা কিজিং থেকে খামারপাড়া পর্যন্ত এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খামারপাড়ায় সড়কে মাটি ফেলা হলেও মোনতলা এখনো ভাঙা রয়ে গেছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের খামারপাড়ায় মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এখন মোনতলা কিজিং এলাকায় ভাঙন সংস্কারের কাজ চলছে। সড়কের ওই অংশে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়কের ভরাট করা মাটি সরে গিয়েছিল। এখন তাই সড়কের পাশে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দুই দিনের মধ্যে হালকা যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে।

রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কানন চাকমা বলেন, সড়কের খামারপাড়া এলাকাটি সাপছড়ি ইউনিয়ন ও মোনতলা কিজিং এলাকাটি কুতুকছড়ি ইউনিয়নে পড়েছে। গত কয়েক দিনে খামারপাড়া এলাকা হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে মোনতলা কিজিং এলাকায় এখনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অদক্ষতার কারণে মেরামতকাজে ধীরগতি হচ্ছে। প্রথম দফায় সড়ক সংস্কারের কাজ মানসম্পন্ন হলে দ্বিতীয় দফায় সড়ক ভাঙত না।