খুলনায় ৫৭ ধারার মামলায় সাংবাদিকের জামিন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক আবদুল লতিফ মোড়ল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক নুসরাত জাবিন ১০ হাজার টাকার বন্ড নিয়ে তাঁকে জামিন দেন।

মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের বাসা থেকে আবদুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি খুলনার স্থানীয় দৈনিক প্রবাহের ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি। ডুমুরিয়া থানার পুলিশ জানায়, ওই দিন রাত নয়টার দিকে সুব্রত ফৌজদার নামের এক ব্যক্তি লতিফের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলাটি করেন। সুব্রত নিজেও একজন সাংবাদিক। তিনি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গত ২৯ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ তাঁর নিজ এলাকা ডুমুরিয়ায় কয়েকজন দুস্থ ব্যক্তির মাঝে হাঁস, মুরগি ও ছাগল বিতরণ করেন। জুলফিকার আলী নামের এক ব্যক্তির পাওয়া ছাগল এদিন রাতে মারা যায় বলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই খবর ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে লতিফের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন সুব্রত।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীর বিতরণ করা ছাগল মারা যাওয়াসংক্রান্ত সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন লতিফ। এতে প্রতিমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। খবরটিতে ছাগল বিতরণ বা মৃত ছাগলের কোনো ছবি নেই। খবরে প্রতিমন্ত্রীর একটি পাসপোর্ট আকারের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। এটা দেখে তাঁর (সুব্রত) মনে হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই খবরটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।