নোয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে চারটি মার্কেট ভস্মীভূত

নোয়াখালীতে গতকাল সোমবার ভোররাতে অগ্নিকাণ্ডে প্রধান সড়কের পাশের কয়েকটি দোকান এবং হকার্স মার্কেটসহ চারটি মার্কেটের প্রায় ৪২টি দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর মাইজদী, চৌমুহনী ও সোনাইমুড়ীর পাঁচটি ইউনিট দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল সাতটার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়া ৩০টি দোকান আংশিক পুড়ে যায় এবং ২৫-৩০টি দোকানের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘরের মালিকদের দাবি, আগুনে তাঁদের সম্পদ ও মালামালের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫০ কোটি টাকা।
দমকল বাহিনীর মাইজদী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর পৌনে চারটার দিকে শহরের প্রধান সড়কের পাশের জনতা সুপার মার্কেটের একটি দোকানে প্রথম আগুন দেখা যায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানে এবং পেছনে হকার্স মার্কেটের একাংশসহ চারটি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন সাত-আটজন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকে অভিযোগ করেন, এ সময় তাঁদের অনেক মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আগুনে শুধু জোনাকি টেলিকমেরই দেড় কোটি টাকার মোবাইল সামগ্রী, রহমান ক্লথ স্টোরের তিন কোটি ও সোবহান ক্লথ স্টোরের আড়াই কোটি টাকার কাপড় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুর রহমান ও মহিউদ্দিন মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ১৮-দলীয় জোটের গতকালের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোহামঞ্চদ শাহজাহান জানিয়েছেন।