ঠিক সেখানেই উল্টে গেল কাভার্ড ভ্যান

মেহেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠ এলাকায় গতকাল মুরগির খাদ্যবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ‍উল্টে পড়ে l প্রথম আলো
মেহেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠ এলাকায় গতকাল মুরগির খাদ্যবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ‍উল্টে পড়ে l প্রথম আলো

মেহেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠ এলাকায় সয়াবিন ভুসি (মুরগির খাবারের কাঁচামাল) ভর্তি একটি কাভার্ড ভ্যান (কনটেইনার) দুর্ঘটনায় পড়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে দর্শনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গর্ত ও খানাখন্দে ভরা সড়কে চাকা দেবে কাভার্ড ভ্যানটি উল্টে যায়। এতে কাভার্ড ভ্যানটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও চালক ও সহকারী প্রাণে বেঁচে গেছেন।

মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে গত শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘মেহেরপুর-ঢাকা মহাসড়ক, চুয়াডাঙ্গায় তিন কিলোমিটার বেহাল’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা থেকে তোলা একটি ছবি প্রকাশিত হয়। যেখানকার ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, ঠিক সেখানেই কাভার্ড ভ্যানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার কারণে ওই সড়কে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়।

কাভার্ড ভ্যানের চালক রবিউল হায়দার বলেন, দর্শনা রেলবন্দর থেকে ১৮ মেট্রিক টন সয়াবিন ভুসি নিয়ে ঢাকার কোনাবাড়ী চান্দরা এলাকায় অবস্থিত সিপি বাংলাদেশ ফিড মিলসে যাচ্ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের মধ্যে সড়কে গর্ত ও খানাখন্দের কারণে ধীরগতিতে সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িটি একপাশে দেবে উল্টে যায়। আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে এসে তাঁকে এবং সহকারী শিপন আলীকে উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম মোস্তফা ওরফে বাদল জানান, সড়কটিতে সব সময় বড় গাড়ির পাশাপাশি ইজিবাইক ও ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করে। দুর্ঘটনার সময় বাঁ পাশে ফাঁকা থাকায় বড় ধরনের হতাহত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং জেলা ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দীনের তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল পাঁচটায় এ খবর লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ অব্যাহত ছিল।

আলোচিত সড়ক উন্নয়নে চুক্তিবদ্ধ তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার আরএবি-আরসি লিমিটেড ও রানা বিল্ডার্স এবং মেহেরপুরের জহুরুল ইসলাম লিমিটেড জুন মাসে কার্যাদেশ পেলেও গতকাল শনিবার পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি।

সওজ বিভাগ চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার দাবি করেন, পণ্যসহ কনটেইনারটির ওজন প্রায় ৬০ টন। অতিরিক্ত ওজনের কারণে দেবে উল্টে গেছে। তিনি বলেন, চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।