শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষক ছাবেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য স্ত্রী আজিমা বেগমকে (৩২) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ছাবেরুল উপজেলার চান্দেরপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় গত রোববার থানায় মামলা হয়েছে।

আজিমার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর পাঁচটারীপাড়া গ্রামের আনোয়ারুল হকের মেয়ে আজিমার সঙ্গে পাশের চাপড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছাবেরুলের ১১ বছর আগে বিয়ে হয়।

আনোয়ারুল হক বলেন, ছাবেরুল ও তাঁর পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের এক দিন আগে যৌতুক হিসাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তিন মাস আগে পাকা ঘর নির্মাণের জন্য ছাবেরুল আরও টাকা চান। ১ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টায় আজিমাকে ২ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দেন ছাবেরুল। এতে আজিমা অস্বীকৃতি জানালে ছাবেরুল তাঁকে বেদম পেটান। একপর্যায়ে আজিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আজিমার বাবা লোকমুখে ঘটনাটি জেনে ওই রাতে পুলিশের সহযোগিতায় আজিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি পাঁচজনকে আসামি করে গত রোববার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

আজিমা অভিযোগ করেন, স্বামীর এই নির্যাতনে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সহযোগিতা করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ বলেন, আজিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাবেরুল গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুঠোফোনেপ্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাই তো খালি পুরুষের দোষ করে। নারীদের দোষ তো কাও করে না। দোষ না করলে কি ইচ্ছা করি কেউ বউকে মারে।’

 এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনায় গত রোববার থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’