কালভার্ট নেই, তক্তা ফেলে চলাচল

চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না করে সাড়ে চার মাস আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সুপিরহাট-চর সেকান্দর-বাংলাবাজার সড়কের একটি কালভার্ট পুনর্নির্মাণের জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার লোকবল সংকট ও বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে এখনও নির্মাণকাজই শুরু করেনি। বিকল্প সড়ক না থাকায় ওই সড়কে চলাচলকারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। খালের ওপর কাঠের তক্তা বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যান চলাচল করছে।

স্থানীয়রা জানান, সুপিরহাট-চর সেকান্দর- বাংলাবাজার সড়কটি ব্যবহার করে চর নেয়ামত, চর সেকান্দর, চর হাসান-হোসেন ও চর পোড়াগাছার হাজীগঞ্জ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা প্রতিদিন রামগতি উপজেলা সদর ও নোয়াখালী সদরে যাতায়াত করে। এলাকার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকেও প্রতিদিন ওই সড়ক ব্যবহার করতে হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ভেঙে ফেলা কালভার্টের দক্ষিণ পাশে কুমারী খালের শাখা খালের ওপর খেজুর গাছের গুঁড়ি ও কাঠের হালকা তক্তা দেওয়া হয়েছে। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।

অটোরিকশাচালক আবদুল মালেক বলেন, স্থানীয় লোকজন ও সুপিরহাট বাজারের অটোরিকশাচালকেরা ভাঙা কালভার্টের পাশে তক্তা ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিদিন ৫০-৬০টি অটোরিকশা ও ইজিবাইক যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ পুলের ওপর দিয়ে চলাচল করছে।

চর নেয়ামত এলাকার বাসিন্দা মো. তারেক উদ্দিন বলেন, কালভার্টটি পুরোনো হলেও চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ছিল না।

চর সেকান্দর শফিক একাডেমির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আল আমিন বলে, কালভার্টটি ভাঙার পর প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে অন্য একটি সড়ক দিয়ে  বিদ্যালয়ে যেতে হতো তাদের। তক্তা বিছানোর পরে তারা এ পথে যাতায়াত করছে।

জানেত চাইলে রামগতি উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম বলেন, তিন মিটার প্রশস্ত কালভার্টটি পুনর্নির্মাণের জন্য ঠিকাদার ভেঙে ফেলেন। প্রকল্পের আওতায় সেখানে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কোনো বরাদ্দ রাখার সুযোগ ছিল না। লোকজনের চলাচলে ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত কালভার্টটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

কালভার্ট নির্মাণের ঠিকাদার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, লোকবল সংকট ও বর্ষার কারণে তিনি কাজ শুরু করতে পারেননি। বর্ষার পর থেকে কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।