গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশিষ সাহার স্ত্রী লাবণী সাহার (৩০) আত্মহত্যার ঘটনায় গতকাল শনিবার মামলা হয়েছে। দেবাশিষসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ওই মামলা করেন লাবণীর বাবা গোবিন্দ চন্দ্র সাহা।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে দেবাশীষকে গাইবান্ধা সদর থানা ও তাঁর মামা পূর্ণ চন্দ্র সাহাকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের বৈরাগিপাড়া এলাকার দেবাশিষের সঙ্গে একই জেলার ভূরুঙ্গামারী শহরের গোবিন্দ চন্দ্রের মেয়ে লাবণীর বিয়ে হয়। চাকরির কারণে দেবাশিষ স্ত্রী লাবণীকে নিয়ে গাইবান্ধা শহরের পুরোনো হাসপাতাল লেনের ভাড়া বাসায় থাকতেন। দেবাশিষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেবাশিষ ওই মেয়েটিকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে লাবণীর অনুমতি চান। অনুমতি না দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। দেবাশিষ ও তাঁর পরিবারের লোকজনও তাঁকে নির্যাতন করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে মারধরের পর তাঁকে গাইবান্ধার ভাড়া বাসার ঘরে তালাবদ্ধ করে দেবাশিষ কর্মস্থলে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তালা খুলে লাবণী থানায় যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর লাবণী রাধাকৃষ্ণ এলাকায় রেললাইনে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘নির্যাতন সইতে না পেরে এসআইয়ের স্ত্রীর আত্মহত্যা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে এসআই দেবাশিষের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।