তদন্তভার সিআইডিতে, দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রের অপহরণ মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়ছে। গত সোমবার থেকে তদন্তকাজ শুরু করে সিআইডি। অপহরণ মামলার বাদী মনির হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয় বলে থানা-পুলিশ জানিয়েছে।
অপরদিকে দুই ছাত্রকে উদ্ধার করতে প্রধান দুই সন্দেহভাজন মো. রফিক ও মো. শরিফ প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত রোববার বিচারিক হাকিম সরাফ উদ্দিন আহম্মদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
থানা-পুলিশ ও ছাত্রদের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২০ এপ্রিল উপজেলা সদরের সোহেল মার্কেট এলাকা থেকে বাঞ্ছারামপুর আলিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আশিক হাছানকে অপহরণ করা হয়। এর ৪২ দিন পর গত ৩ জুন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এস আর সুপার মার্কেট এলাকা থেকে দশদোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছাদেক মিয়া অপহৃত হয়। এ ঘটনায় ২২ এপ্রিল আশিকের মা নাজমা বেগম সাধারণ ডায়েরি এবং ৯ জুন ছাদেকের বাবা মনির হোসেন থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ দুটি অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন সময়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জুন আছিয়া বেগম, ২১ জুন রফিক, ২২ জুন তাঁর ছেলে রাশেদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম সরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে এবং ২৪ জুন সফিক মিয়া জয়ন্ত রানী রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে থানা-পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
সাদেকের বাবা মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে ও মামলার তদন্তভার সিআইডিতে দিতে গত ৯ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছিলাম। রফিকই আমার ছেলেকে অপহরণ করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমার ছেলেকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।’
আশিকের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার পোলারে আমি ফিরা পাইতে চাই।’
বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাব্বির রহমান বলেন, রফিক যে অপহরণ করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু রফিক এতই ধূর্ত যে মুখ খুলছেন না। তিনি আরও বলেন, রফিক ও শরিফের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় সিআইডিই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।