স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, তরুণী ধর্ষণের শিকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়ের কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উভয় ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। ভোলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ঘটনায় করা মামলার এজাহার, তরুণীর পরিবার ও পুলিশ সূত্র বলেছে, মাস তিনেক আগে মুঠোফোনে মোক্তার হোসেন (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি গ্রামের ওই তরুণীর (১৮) পরিচয় হয়। মোক্তারের বাড়ি নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশ মৌজা গ্রামে। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সোমবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে আনেন মোক্তার ও তাঁর বন্ধুরা। পরে তাঁকে বাইশ মৌজা বাজার এলাকায় নিয়ে একটি চা-দোকানের ভেতর মোক্তার ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তবে ফাঁস দেওয়ার অভিনয় করায় মোক্তারকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার মেয়েটির মা নবীনগর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

অভিযুক্ত মোক্তারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানোর অভিনয় করেন। তাঁকে আহত ভেবে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

ভোলার বোরহানউদ্দিনের বড় মানিকা ইউনিয়নে সপ্তম শ্রণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. মনিরুল ইসলাম (২২) ও মো. সজীব (২০) নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। পুলিশ গতকাল দুপুরে সজীবকে গ্রেপ্তার করে।

এজাহারে বলা হয়, ওই স্কুলছাত্রী সোমবার ওই ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় গাছের গোড়ায় কাঠি পুঁততে সে সড়কের পাশের এক বাগানে কাঠি সংগ্রহের জন্য যায়। তখন মনির ও সজীব তাকে ধরে কাছের একটি নির্জন ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটি ভয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাঁরা পালিয়ে যান। বাগান থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্থানীয় লোকজন। পরে ওই ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় করা মামলার দুই আসামির একজন সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।