ঈদে জঙ্গিদের নাশকতা রোধে বিশেষ ব্যবস্থা

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লঞ্চ, ট্রেন, বাস এবং ঈদের জামাত ও মসজিদে জঙ্গিগোষ্ঠীর নাশকতা রোধে সতর্কতামূলক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ জেলা এবং থানা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস) মো. মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ সব পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, নৌ, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ অন্যান্য ইউনিটের ডিআইজি, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সভায় বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সভায় আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে কোনো ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। তিনি সড়ক, রেল, নৌপথ, পশুরহাট এবং ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, তবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক থামানো যাবে না।

সভায় নির্ধারিত ঘাট ছাড়া কোরবানির পশু ওঠানামা রোধ, পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, পশুর হাট ইজারাদারদের হাসিলের হার প্রদর্শন, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কোরবানির পশু পরিবহনে ব্যবহৃত নৌকা ও ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এ ছাড়া কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকটকারী, অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারীসহ কোরবানির পশুর হাটের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের শাস্তি দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ঢাকার চামড়া যাতে বাইরে না যায় এবং ঢাকার বাইরের চামড়া যাতে সীমান্তমুখী না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং বন্যাদুর্গত এলাকায় কোরবানির বা গৃহপালিত পশুর নিরাপত্তার জন্য কমিউনিটি পুলিশকে কাজে লাগানো হবে।