সরিষাবাড়ীতে বন্যায় সীমাহীন দুর্ভোগ
- জলাবদ্ধতা শহরের ১০ এলাকায়
- ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
- দুদিন ধরে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর শহরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পৌর শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়সহ ১০টি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পৌর শহরের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একমাত্র আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২৫০টি পরিবার।
দুই দিন ধরে সরিষাবাড়ী-ঢাকা মহাসড়কের বাস টার্মিনালে তিন ফুট পানি ওঠায় সরিষাবাড়ী থেকে সড়কপথে জেলা শহরসহ সারা দেশে বাস এবং রেললাইনের ওপর এক-দুই ফুট পানি ওঠায় সরিষাবাড়ী থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের শিমলা বাজারে কোমরপানি হয়েছে। আরামনগর বাজার এলাকায় পানি প্রবেশ করায় কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা প্রধান সড়কে বেচাকেনার পসরা বসিয়েছেন।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আনছার-ভিডিপি, বন কর্মকর্তার কার্যালয়, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, সরিষাবাড়ী সমাজসেবা কার্যালয়, উপজেলা প্রধান ডাকঘরে বন্যার পানি ওঠায় জনগণের সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ৬০টি সরকারি প্রাথমিক, ৩০টি উচ্চবিদ্যালয়সহ কলেজে সাত দিন ধরে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে হাঁটুপানি থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
শিমলা বাজার টাউন বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, বাজারের মধ্যে ও দোকানঘরে পানি থাকায় ব্যবসা বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, বন্যায় পৌরসভা ও উপজেলার আটটি ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, বীজতলা ও সবজিখেত তলিয়ে গেছে।
সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনের মাস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, রেললাইনের ওপর পানি ওঠায় দুই দিন ধরে সরিষাবাড়ী-ঢাকার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পৌরসভার মেয়র মো. রুকনুজ্জামান বলেন, বন্যাদুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সরকারিভাবে বন্যার্তদের জন্য তিন টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে; চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল।