রেললাইনে বসে আড্ডা নয়

কানে হেডফোন লাগিয়ে বা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটা এবং আড্ডা দেওয়ার কারণে গত ১৬ দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে ৯৭ জনকে আটক করেছে রেল পুলিশ। তাদের মধ্যে নয়জনকেই আটক করা হয়েছে গতকাল শুক্রবার।

পুলিশ জানায়, অসতর্কতায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা কমাতে সচেতনতামূলক অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক করার সময় সবাই রেললাইনে অবস্থান করছিলেন। অবশ্য পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন মাস থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে রেললাইনে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৪ জন। এর মধ্যে গত ২০ দিনে মারা গেছেন ছয়জন। রেললাইনের ওপর আড্ডা দেওয়ার সময় এবং অসতর্কভাবে হাঁটতে গিয়ে তঁারা নিহত হন। এ ধরনের অপমৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করতে ২ আগস্ট থেকে সীতাকুণ্ড রেল পুলিশের অভিযান চলছে। একই সঙ্গে রেললাইনের আশপাশের বাসিন্দা ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে।

গতকাল উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে রেললাইনের ওপর আড্ডা দেওয়া এবং অসতর্কভাবে রেলপথ পাড়ি দেওয়ার সময় নয়জনকে আটক করা হয়। এর আগে উপজেলার বারৈয়ারঢালা, পৌর সদরের বটতল, ইকোপার্ক, ফকিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৮৮ জনকে আটক করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে রেললাইনের ওপর আড্ডা দেবেন না কিংবা হাঁটবেন না-এই মুচলেকা নিয়ে তাঁদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।

রেল পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রেললাইনে জুয়ার আসর বসানো কিংবা আড্ডা দেওয়া লোকজনকে আটক করে তাঁরা ফাঁড়িতে এনে সতর্ক করছেন। যাঁরা কানে হেডফোন লাগিয়ে বা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে লাইনের ওপর হাঁটেন তাঁদেরও আটক করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ না করার জন্যও সতর্ক করা হচ্ছে লোকজনকে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই মূলত রেললাইন এবং এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা।