বাগমারায় ৯২ কোটি টাকার ধান পানিতে!

ঘরে পানি ঢোকায় থাকার জো নেই। মাচায় বসে এই দুরবস্থা দেখছেন বন্যাদুর্গত একটি পরিবারের সদস্যরা। ছবিটি শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা থেকে তোলা। ছবি: মামুনুর রশিদ
ঘরে পানি ঢোকায় থাকার জো নেই। মাচায় বসে এই দুরবস্থা দেখছেন বন্যাদুর্গত একটি পরিবারের সদস্যরা। ছবিটি শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা থেকে তোলা। ছবি: মামুনুর রশিদ

চলতি বন্যায় রাজশাহীর বাগমারায় ৯২ কোটি টাকার ধান পানিতে তলিয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 


বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আউশ ও ৮৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বন্যায় ছয় হাজার ৬৯১ হেক্টর জমির রোপা আউশ ও ৩২১ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এই পরিমাণ জমিতে মোট ৩৬ হাজার ৮১৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান বলেন, এখন ধানের মণ এক হাজার টাকা করে। এই বাজার দর হিসাবে বন্যায় ৯২ কোটি ৩২ লাখ ৫০০ টাকার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। পানি নেমে গেলেও এসব ধানখেত আর রক্ষা করা যাবে না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমি, পানের বরজ, পুকুর ও বিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪০০টি পরিবার এবং ৯৭ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ গ্রামের কৃষক আজিবর রহমান, শুভডাঙ্গার বেলাল হোসেনসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন বলেছেন, তাদের খেতের সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল করিম বলেন, তাঁর ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক ধানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।