বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে

অমাবস্যার কারণে মঙ্গলবার দেশের বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ ও বন্যা বিশেষজ্ঞরা এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু সেই বিপদ আর আসেনি, অমাবস্যায় দেশের বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বেড়েছে সামান্যই। কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়লেও সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। বরং নতুন করে ১০-১২টি নদীর পানি কমেছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আজ বুধবার সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। এতে শহরাঞ্চলে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা হতে পারে। তবে নদীর পানি কমার কারণে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অর্থাৎ দেশের অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কমে আসতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৯০টি পয়েন্টের মধ্যে ৩৭টিতে পানি বেড়েছে, কমেছে ৪৯টিতে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ২৫টি নদ-নদীর পানি। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর মধ্যে ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বালু নদের পানি কিছুটা বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকাল মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৭টি জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে ছিল।

এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অমাবস্যায় নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হলেও সেই বিপদ কেটে গেছে। রাজধানীর বালু নদের পানি আরও কিছুটা বেড়ে ঢাকার পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করতে পারে। তবে আবারও বন্যার শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে।

গতকাল সকালে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই ডুবে গিয়েছিল রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে শহরে আবারও জলাবদ্ধতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন নগরবিদেরা। গতকাল দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে ১২১ মিলিমিটার। আজ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।