সুনামগঞ্জ ও আশুগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ৩৫

সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় খাসজমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে আটক করেছে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গত বুধবার রাতে এ সংঘর্ষ হয়।
সুনামগঞ্জ থানার পুলিশ ও কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, উপজেলার শত্রুমর্দন গ্রামের কুমা বিলপাড়ের ১০ একর খাসজমি নিয়ে দুই পাড়ার লোকজনের মধ্যে সাত বছর ধরে বিরোধ চলছে। ওই জমিতে গ্রামের ১২টি ভূমিহীন পরিবার বাস করে। আশপাশে রয়েছে কয়েকটি ডোবা। গত মঙ্গলবার ওই সব ডোবায় গ্রামের লোকজন মাছ ধরতে গেলে ভূমিহীন পরিবারের লোকজন তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে ভূমিহীন পরিবারের বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে গতকাল সকালে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই ভূমিহীন পরিরারের পক্ষ নিয়ে কয়েক শ লোক গ্রামের পালপাড়া, দেবপাড়া, রুদ্রপাড়া ও নাথপাড়ার প্রায় ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে তিনজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার বলেছেন, ‘মঙ্গলবারের পর আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু একটি পক্ষ উসকানি দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’ পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় মামালা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আশুগঞ্জ থানার পুলিশ ও স্থানীয় অনেকে জানান, দুর্গাপুর গ্রামের মাঠে বুধবার বিকেলে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা চলাকালে গ্রামের বাঘাবাড়ির মোস্তুফা মিয়ার ছেলে মুর্শিদ ও হাজিবাড়ির তোতা মিয়ার ছেলে মুমিন মিয়ার মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে রাত আটটার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাজিবাড়ির লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালান। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে শাহ আলম, মনির হোসেন, লিটন মিয়া, রইছ মিয়া, নুরুল আমিন, আবদুস সাত্তার, উজ্জ্বল মিয়া, সাদ্দাম হোসেন ও ফরহাদ মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[নিজস্ব প্রতিবেদক, ভৈরব, সুনামগঞ্জ অফিস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি]