চারুকলার ছাত্রকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করা নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র রাজীব কান্তি শীলের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আদালত তাঁকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন পারভেজ।

নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সামসুল আলম আজাদ বলেন, শিশুকে যৌন নিপীড়নের মিথ্যা মামলায় মেধাবী ছাত্র রাজীব কান্তি শীলকে ফাঁসানো হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী ও যারা চায় না চারুকলা এখানে থাকুক, তাদের ইন্ধনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডির সদস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, অভিযোগ উঠেছে,
শিশুকে নিপীড়নের ঘটনাটি বানোয়াট ও সাজানো। কলেজের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ এটি করেছে। কলেজের শিক্ষকসহ অন্যরা বলছেন, যে সময়টিতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে, সে সময়ে রাজীব কান্তি শীল সে জায়গায় ছিলেন না।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, প্রযুক্তির এ সময়ে এটি প্রমাণ করা কোনো দুরূহ বিষয় না। কথিত সময়ে ছাত্রের ব্যবহৃত মুঠোফোনের অবস্থান নিশ্চিত করলেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে। ছাত্র অপরাধী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। কিন্তু এ নিয়ে কলেজের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র মানা যাবে না।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি আরও বলেন, এই কলেজটি ২৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৪ সালে এটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় ২০০৬ সালে ৭২ শতাংশ ভূমি চারুকলার নামে সাময়িক লিজ দিয়েছে। সুতরাং ষড়যন্ত্র করে এই কলেজটিকে কেউ তুলে দেবে তা কখনোই হবে না। ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক ও ছাত্ররা মানববন্ধন করেছেন। ছাত্ররা তাঁদের শিল্পকর্ম পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

রোববার বিকেলে সকালে নগরের দেওভোগে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব কান্তি শীলকে শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কয়েক শ লোক কলেজের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। সোমবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত রাজীবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।