মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের এক যুবলীগের নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম ফজলুল করিম (৩০)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ফজলুল ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে ফজলুলের বাড়িতে ১৫-২০ জন যুবক হামলা চালায়। এ সময় ফজলুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধাওয়া করে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ এসে গুরুতর আহত ফজলুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিহত ফজলুলের বাবা মো. শফিউল আলম বলেন, গতকাল দুপুরে তাঁর ছেলে খেতে বসেছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর ধারণা।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল কামাল বলেন, গত জানুয়ারিতে মিরসরাইয়ের হাদিফকির এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মী নুরুল আমিন মুহুরী হত্যাকাণ্ডের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে নিজামপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলুল করিমের মারা যাওয়ার খবর পুলিশ পেয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। তাঁরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

ফজলুলের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় দুটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানান মো. জহির উদ্দিন।