সিঙ্গাইরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার শোলাই বাঙ্গালা গ্রামে দুটি মন্দিরের আটটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। মন্দিরের পাশে শ্মশানের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে শোলাই বাঙ্গালা রক্ষাকালী মন্দির ও পাশের লোকনাথ মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করা হয়।

মন্দির পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন মন্দির দুটির সামনে ভাঙচুর করা প্রতিমা পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মন্দির পরিচালনা কমিটির লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি লালচান রাজবংশী বলেন, দীর্ঘদিন আগে এক হিন্দু ৩০ শতাংশ জমি রেখে ভারতে চলে যান। এরপর সেই জায়গায় দুটি মন্দির ও একটি শ্মশান স্থাপন করা হয়। কয়েক বছর আগে স্থানীয় আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি শ্মশানের জায়গার পাশে জমি কেনেন। তিন-চার মাস আগে থেকে তিনি শ্মশানের জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বাঁশ দিয়ে শ্মশানের সীমানায় বেড়া দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল ও তাঁর লোকজন বেড়া ভেঙে ফেলেন। সোমবার পুনরায় বাঁশের বেড়া দিলে ওই দিনই জলিল ও তাঁর লোকজন বেড়া ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে হিন্দু লোকজনের বাধার মুখে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ রাজবংশী বলেন, রক্ষাকালী ও লোকনাথ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আবদুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জায়গাজমি নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ নেই। মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততাও নেই।

সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় লালচান রাজবংশী বাদী হয়ে আবদুল জলিলসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।