নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের রোহিঙ্গাদের নেওয়া হবে উখিয়ায়

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে নিবন্ধন বা তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালিকার কাজ শেষ হলে প্রত্যেক রোহিঙ্গা পরিবারের যৌথ ছবি তুলে কার্ড দেওয়া হবে এবং উখিয়ার বালুখালিতে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও নাইক্ষ্যংছড়ির জনপ্রতিনিধি সূত্রে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বড় শণখোলা, ফুলতলি ও সাপমারাঝিরি এবং ঘুনধুম ইউনিয়নে ঘুনধুম, তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ির ছয়টি পয়েন্টে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। এ দুই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে রোহিঙ্গাদের নির্ভুল তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়িতে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা করা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুন আজিম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় তিন মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রত্যেক রোহিঙ্গা পরিবারের প্রধান ও পরিবারের সদস্যদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে তালিকার কাজ শুরু হবে।

ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

তুমব্রু সীমান্তের রোহিঙ্গা নেতা আক্তার আলম বলেছেন, শূন্যরেখায় তাঁরা স্থলমাইন ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের ভয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকতে পারলে নিরাপদ থাকবেন তাঁরা।

বিজিবি ও প্রশাসন সূত্র বলছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির রাখা হবে না। এ কারণে শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা শেষ করে উখিয়ায় সরিয়ে নিতে কক্সবাজারের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।