ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ, স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সখীপুর থানায় করা মামলায় লিটন আহম্মেদকে (৪৩) আসামি করা হয়।

মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে লিটনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। ওই দৃশ্য ভিডিও করা হয়। এরপর হুমকি দেওয়া হয়, ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং মেয়ের মা-বাবাকে মেরে ফেলা হবে। এই ভয় দেখিয়ে আরও ছয়-সাতবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। ২৩ আগস্ট স্থানীয় একটি ক্লিনিকে করা আলট্রাসনোগ্রাফি প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়েটি ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ পেলে লিটন আমাদের পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ দেন। মেয়ের নামে জমি লিখে দিতে চান।’ এ ব্যাপারে জানতে লিটন আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে তাঁর বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনা শুনে আমি খুবই লজ্জা পেয়েছি। ১৫ দিন ধরে আমি ছেলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। ও খুবই খারাপ ছেলে। বাপ হয়েও আমি ছেলের বিচার চাই।’

এই এলাকার একাধিক সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি প্রথম আলোকে বলেন, লিটন আগে থেকেই দুষ্টু প্রকৃতির। নারীসংক্রান্ত অনেক কুকর্ম তাঁর আছে। তাঁর বিচার হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ওসি মাকছুদুল আলম বলেন, আসামি লিটন আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শনিবার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ছাড়া বিচারিক হাকিমের কাছে নিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।