রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫০০ একর জমির ব্যবস্থা করা হচ্ছে

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রথম আলো ফাইল ছবি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আড়াই হাজার একর জমির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করার জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ সংকটের সমাধান হবে।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ চারজন শুক্রবার রাতে টেকনাফের জালিয়াপাড়ায় ঢুকেছেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গারা হলেন আমেনা খাতুন (২৬), আবদুল করিম (২২), ইমান শরিফ (২০) ও মো. সোহেল (৮)। তাঁরা রাখাইনের রাছিডং এলাকার খৈয়ারবিল গ্রামের বাসিন্দা।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস প্রথমআলোকে বলেন, চার রোহিঙ্গার প্রত্যেকের হাত, পা ও বুকে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে শিশু মো. সোহেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ আবদুল করিম গতকাল দুপুরে হাসপাতালে প্রথমআলোকে বলেন, গত ৩১ আগস্ট মিয়ানমারের সেনা ও নাডালা বাহিনীর একটি দল তাঁদের গ্রামে হামলা চালায় এবং ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় নারী-শিশুসহ অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাঁরা পালিয়ে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পাহাড়-জঙ্গলে আশ্রয় নেন। বহু কষ্টে শুক্রবার রাতে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে ঢোকেন।