অধ্যক্ষ লাঞ্ছনায় ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মী সাময়িক বহিষ্কৃত

বগুড়ার সরকারি শাহ্‌ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তিন নেতা-কর্মীকে ‘দলীয় শৃঙ্খলা’ ভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পরীক্ষায় অসদাচরণের অভিযোগে দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের জেরে গতকাল সোমবার বগুড়ার সরকারি শাহ্‌ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত এবং তাঁর কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এই সিদ্ধান্ত এল।

সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত তিনজন হলেন বগুড়ার সরকারি শাহ্‌ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহা, কর্মী এস এম জোবায়ের হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তিনজনকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। জরুরি সিদ্ধান্তে তাঁরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, তিন নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাঠানো চিঠি গতকাল রাতেই হাতে পেয়েছেন তিনি।

দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষায় অসদাচরণের অভিযোগে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজের দুই ছাত্রকে গতকাল বহিষ্কার করা হয়। ঘটনার জেরে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অধ্যক্ষ এজাজুল হককেও লাঞ্ছিত করা হয়।

অধ্যক্ষ এজাজুল হক অভিযোগ করেন, দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের জেরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাহার নেতৃত্বে তাঁর কক্ষে হামলা চালানো হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে লাঞ্ছিত ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

বিশ্বজিৎ দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত থাকলেও হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ছাত্রলীগের কেউ হামলা-ভাঙচুর করেননি।

এ ঘটনায় গতকাল রাতেই শাজাহানপুর থানায় বিশ্বজিৎসহ সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন অধ্যক্ষ এজাজুল হক। মামলায় হামলা-ভাঙচুর ও সরকারি সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার পর কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অনীক ও কর্মী জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাতে জরুরি বৈঠক করে বগুড়া জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে তারা সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়।

আরও পড়ুন