ঘোষণা ছাড়াই ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ধরমপাশা

ঘোষণা ছাড়াই সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে গত বুধবার ১০ ঘণ্টার বেশি সময় পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আকস্মিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ওই দিন সহস্রাধিক গ্রাহককে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া মাস তিনেক ধরে লো–ভোল্টেজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এখানকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা।

এলাকাবাসী ও নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে থাকা ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর অভিযোগ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার চামরদানী, মধ্যনগর ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের একটি অংশ মিলিয়ে ৩ হাজারের বেশি গ্রাহক আছেন। নিয়ম অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখলে মাইকিং করে তা গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে গত বুধবার সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া সাতটা পর্যন্ত এই তিন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।

উপজেলার মধ্যনগর বাজারের ব্যবসায়ী নাসিম উদ্দিন বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই বুধবার ১০ ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এতে গ্রাহকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া লো–ভোল্টেজে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

মধ্যনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বলেন, মাস তিনেক ধরে লো–ভোল্টেজের কারণে সন্ধ্যার পরই বিদ্যুতের পাখা ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে। কম্পিউটারেও কোনো কাজ করা যায় না। খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মধ্যনগর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দিন বলেন, গাছতলা বাজারের কিছু দূর থেকেই বেশ কিছু পুরোনো বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার সরিয়ে নতুন করে স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ঈদুল আজহার আগে এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু কবে থেকে কাজ শুরু হবে, বলা হয়নি। বুধবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করার কথা ছিল। একটু দেরি হওয়ায় গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম আর না হয়, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক (জোনাল) কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক গ্রাহকই আমাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। পুরোনো তার ও খুঁটি পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ আগামী ১৫–২০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কাজ শেষ হলে লো–ভোল্টেজের সমস্যাও থাকবে না। গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’