উলিপুরে আলুখেতে ছত্রাকের আক্রমণ

ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় আলুখেতে ছত্রাক আক্রমণ করেছে৷ এতে প্রায় ১০০ হেক্টর জমির আলুগাছ নষ্ট হয়েছে৷ কীটনাশক ছিটিয়েও কৃষকেরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না৷
উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬৩ হেক্টর৷ এর মধ্যে চাষ করা হয়েছে ৭০৫ হেক্টরে৷
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা এবং তবকপুর ইউনিয়নের বামনাছড়া গ্রামে কৃষকেরা আলুখেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন৷
বামনাছড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক ৫০ শতক জমিতে এবং শামছুল হক ৩০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন৷
তাঁরা জানান, ঘন কুয়াশা ও তিন দফা শীতের প্রকোপের কারণে আলুখেতে পচন রোগের দেখা দিয়েছে৷ কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক ছিটিয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না৷
ছত্রাকজনিত রোগে প্রথমে আলুগাছের পাতা মুড়ে যায়, এরপর পাতার মধ্যে ফোসকা পড়ে এবং কাণ্ড পচে যায়৷
নেফরা গ্রামের জিয়াউর রহমান জানান, তিনি চলতি মৌসুমে দেড় একর জমিতে আলু চাষ করেছেন৷ কিন্তু ছত্রাক রোগের কারণে তাঁর অর্ধেক জমির আলুগাছ নষ্ট হয়ে গেছে৷
একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ৩০ শতক, ফজলু মিয়ার ৫৫ শতক, আশরাফুল হকের ৪০ শতক জমির আলুগাছ ছত্রাক রোগের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে৷
থেতরাই ইউনিয়নের সন্তোষ অভিরাম, জুয়ান সতরা ও হোকডাঙ্গার চরে আলুখেতে ছত্রাক রোগের আক্রমণে হবিবর রহমান, দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকের জমির আলুগাছ পচে গেছে৷
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আলুখেতে ছত্রাকের আক্রমণের জন্য ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতকে দায়ী করে প্রথম আলোকে জানান, ছত্রাক দূর করতে কৃষকদের নইন, নিউবন ও সিকুর-জাতীয় কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ এ জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন৷