সাংসদ বদি ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় বিতর্কিত সাংসদ আবদুর রহমান ওরফে বদি ও তাঁর প্রথম স্ত্রী শাহীনা আক্তারের আয়কর নথি সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার আয়কর কার্যালয় থেকে দুজনের নথি সংগ্রহ করে দুদকের উপপরিচালক আহসান আলী টেকনাফে যান। সেখানে তিনি সাংসদ আবদুর রহমানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজখবর নেন এবং হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীর তথ্য অনুসন্ধান করেন।

দুদকের উপপরিচালক আহসান আলী প্রথম আলোকে বলেন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সাংসদ আবদুর রহমানের নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা সংগ্রহ করে তা যাছাই করা হচ্ছে। তা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে হলফনামার দেওয়া সম্পদের তথ্য এবং হলফনামার বাইরের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সাংসদ আবদুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তথ্য দিচ্ছেন। তদন্তের স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সাংসদ আবদুর রহমানের হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাবের তথ্য অনুসন্ধানে দুদকের এই কর্মকর্তা গত সোমবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসেন।

দুদক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা দুদকের এই উপপরিচালকের কাছে সাংসদ আবদুর রহমানের অবৈধ সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের বিপরীতে চাঁদা আদায়, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পারাপারে পর্যটকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, হলফনামাবহির্ভূত একাধিক ফ্ল্যাট বাড়ি, গাড়ি, জমি এবং অর্ধশতাধিক কাছের মানুষের ব্যাংক হিসাবে তাঁর বিপুল পরিমাণ টাকা জমা রাখার তথ্য দিয়েছেন এসব নেতা। দুদকের উপপরিচালক আহসান আলী বলেন, মানুষ সাংসদ বদির বিরুদ্ধে নানা তথ্য দিচ্ছে। অপেক্ষা করুন। সময় এলেই সব জানানো হবে।