খালাফ হত্যার রায় কাল

ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের করা আপিলের ওপর কাল বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ শুনানি নিয়ে রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিকদার মকবুল হক।

২০ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে আদালত ১০ অক্টোবর রায়ের দিন রেখেছিলেন। সেদিন আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। আদালত ১৭ অক্টোবর পুনরায় শুনানির দিন রাখেন। সেদিন আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৩১ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য তালিকায় ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষে এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

২০১২ সালের ৫ মার্চ গুলশানে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে আসে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এর ওপর শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। পাঁচ আসামির মধ্যে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। মো. আল আমিন, আকবর আলী ওরফে রবি, রফিকুল ইসলাম খোকনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান অপর আসামি সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ।