ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার যানজট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ শুক্রবার সকাল থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে ১৮-দলীয় জোটের টানা ১৩১ ঘণ্টার অবরোধ শেষে আজ ওই মহাসড়কে প্রচুর গাড়ি চলাচল করছে। বাড়তি যানবাহনের চাপে দেখা দিয়েছে যানজট। এ যানজট দাউদকান্দির রায়পুর থেকে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এ সপ্তাহের অবরোধ শেষ হলেও আগামীকাল শনিবার থেকে আবার অবরোধ ডেকেছে ১৮ দল। এতে মহাসড়কে আজ অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। অনেক জায়গায় আবার কিছু কিছু যানবাহন এলোপাতাড়ি অবস্থায় চলাচল করছে। এতে যানজট তীব্র হয়ে উঠেছে।

ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট কারের চালক বাবুলের ভাষ্য, রাত পৌনে দুইটায় নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কুমিল্লা বিশ্বরোডে এসে তিনি যানজটে পড়েন। সকাল সাতটায় ইলিয়টগঞ্জে পৌঁছালেও এখানেই আড়াই ঘণ্টা ধরে আটকা রয়েছেন। তিনি জানান, ঢাকায় আসার দিকের গাড়িগুলো কিছুক্ষণ পর পর একটু একটু করে এগোতে পারলেও চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার গাড়িগুলো অনড় দাঁড়িয়ে আছে।

গাইবান্ধা থেকে চট্টগ্রামগামী রাজিব পরিবহনের যাত্রী চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী আইয়ুব হোসেন ও অপর যাত্রী চট্টগ্রামের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী সানোয়ার হোসেন বলেন, রাত ১০টায় কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু সকাল সাড়ে আটটায় রায়পুরের কাছে আটকা পড়ি। এরপর একটু একটু এগোতে পারলেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দাউদকান্দির দৌলতপুরেই আটকা পড়ে আছি।

একই বাসের যাত্রী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শাহীন আলম ও তাঁর স্ত্রী আনজু বেগম বলেন, ‘রংপুর থেকে রাত সাতটার বাসে উঠে দাউদকান্দি উপজেলায় এসে যানজটে আটকা পড়েছি। এত দীর্ঘ সময় না খেয়ে আছি।’

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী এস আলম পরিবহনের বাসের চালক আবদুল মালেক, শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক পারভেজ সরকার, পায়েল পরিবহনের বাসের চালক মোস্তাক আহমেদ বলেন, রাত একটায় কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়ে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। মনে হচ্ছে মহাসড়ক যেন থমকে আছে।

ইলিয়টগঞ্জ  হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মো. হাসান  বলেন, সকালে ইলিয়টগঞ্জের রায়পুর এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাক ও চান্দিনার হাড়িখোলায় অপর একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে। তবে দ্রুত তা অন্যত্র সরানো হয়েছে। যানবাহনের চালকেরা এলোপাতাড়ি চালানোর কারণে রাতের যানজটই তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে কখন শেষ হবে বলা যাচ্ছে না।