নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, ৪ জনের সাজা

কার্ড, সিম, হিয়ারিং ডিভাইস ও মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় চারজনকে সাজা দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
কার্ড, সিম, হিয়ারিং ডিভাইস ও মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় চারজনকে সাজা দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন ‘অডিটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্টার কার্ড, সিম, হিয়ারিং ডিভাইস এবং মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বন করেন বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ কর্তৃক পরিচালিত এ নিয়োগ পরীক্ষা রাজধানী ঢাকার মোট ১০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই চারজনকে সাজা দেন ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এলএও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাশফাকুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত মনির হোসেন (৩২) ও আরাফাত সুলতানকে (২৫) ১৫ দিনের কারাদণ্ড, মো. আবদুর রসিদ (৩০) ও সাদেকুল ইসলামকে (৩১) এক মাসের কারাদণ্ড এবং লুৎফুন নাহারকে (২৯) ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

মো. আবদুর রসিদ অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাদেকুল ইসলাম ড. শহীদুল্লাহ কলেজ, আরাফাত সুলতান ও লুৎফুন নাহার ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল ও কলেজ (আরাফাত বুয়েটের সিএসইয়ের ছাত্র), মো. মনির হোসেন লালবাগ মডেল স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন ‘অডিটর’ পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য চারজনকে বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছে। মাস্টার কার্ডসহ সিম এবং হিয়ারিং ডিভাইস ব্যবহার ও মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে চারজন পান।

২০১১ সালের এপ্রিলে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই বছরের ডিসেম্বরে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলে ২০১৫ সালের নভেম্বরে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তা বাতিল করা হয়। পরে কয়েক দফা পেছানোর পর ৩ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।