মনের শক্তি কুমুদিনী

মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস। ছবি: সংগৃহীত
মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস। ছবি: সংগৃহীত

কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। মানবসেবক রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৩৮ সালে শোভাসুন্দরী ডিসপেনসারি ও ভারতেশ্বরী বিদ্যাপীঠ দিয়ে তাঁর জনহিতকর কাজ শুরু করেন।  তখন পুরোটাই তাঁর নিজস্ব সম্পত্তি ছিল। ১৯৪৭ সালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। পুরো সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করে দেন। ট্রাস্টের অধীনে গড়ে ওঠে একাধিক প্রতিষ্ঠান। দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে ১৯৭১ সালের ৭ মে নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী কমপ্লেক্স থেকে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা ধরে নিয়ে যায়। আর ফিরে আসেননি তাঁরা। সে সময় রণদা প্রসাদ সাহার দ্বিতীয় মেয়ে জয়া পতি কুমুদিনী ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বর্তমানে কুমুদিনী ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাজীব প্রসাদ সাহা। তিনি রণদা প্রসাদ সাহার নাতি, ভবানী প্রসাদ সাহার ছেলে। স্বামী ও শ্বশুরকে হারিয়ে একমাত্র ছেলে ও কুমুদিনী ট্রাস্টের মুখের দিকে চেয়ে নিজের মনকে শক্ত করে কাজ করে চলেছেন রণদা প্রসাদ সাহার পুত্রবধূ ও ভবানী প্রসাদ সাহার স্ত্রী কুমুদিনী ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতী সাহা। এই ট্রাস্টের নানা দিক, নিজের ব্যক্তিজীবনের কথা তিনি বলেছেন প্রথম আলোকে

৭৩ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের মান ধরে রেখেছেন কীভাবে? কোন দিকটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন?
শ্রীমতী সাহা: কুমুদিনীর প্রতি ভালোবাসা। এই প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে সব দুঃখ ভুলে নিজেকে শক্ত রেখে কাজ করেছি আমরা। কুমুদিনীর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কর্মনিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং জনসেবামূলক কাজের স্বতঃস্ফূর্ত স্পৃহাই প্রতিষ্ঠানের মান ধরে রেখেছে।
আপনার স্বামী ও শ্বশুর ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর আপনার ননদ জয়া পতির সমর্থনে লেখাপড়া শুরু করেছিলেন এবং কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফটস প্রতিষ্ঠা করেন। এ ব্যাপারে যদি বলতেন...
শ্রীমতী সাহা: আমার বাবার বাড়ি সিলেটের শেখ ঘাটে। বাড়ির নাম ছিল লাল ব্রাদার্স হাউস। আমার বাবা বিমলেন্দু দাসকে সবাই সাধু বাবু নামে চিনতেন। ১৯৬৭ সালে খুব জাঁকজমকভাবে বিয়ে হয়েছিল ভবানী প্রসাদের সঙ্গে। যখন বিয়ে হয় তখন আমি সবে মাধ্যমিকের ছাত্রী। ১৯৭১ সালে আমার স্বামী এবং শ্বশুর নিখোঁজ হওয়ার পর আমার ননদ জয়া পতি কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের হাল ধরেন। ভবিষ্যতে ট্রাস্টের কাজের উপযোগী করার লক্ষ্যে আমাকে আবার লেখাপড়া করতে তিনি উৎসাহিত করেন। মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন নারীকে নিয়ে কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফটসের কাজ শুরু হয়। সেই কাজ এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখানে একজন কাঁথা সেলাই করে মেয়েকে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ থেকে পড়িয়েছেন। সেটা দেখে সত্যি ভালো লাগে।
টাঙ্গাইল ও নারায়ণগঞ্জ মিলে কত কর্মী কাজ করেন কুমুদিনী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠানগুলোতে?
শ্রীমতী সাহা: বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী কাজ করছেন।
দাতব্য কাজে খরচের একটা ব্যাপার থাকে। আয়ের দিকটি কীভাবে দেখেন?
শ্রীমতী সাহা: আমাদের আয়ের মূল উৎস নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত জুট বেলিং অ্যান্ড ওয়্যারহাউস। আয়ের অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক ও ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আয় জনসেবামূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
শুনেছি রাজীব প্রসাদ সাহা বড় মা ডাকেন প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে, যিনি ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর কথা জানতে চাই।
শ্রীমতী সাহা: প্রতিভা মুৎসুদ্দি ১৯৬৩ সালে এসে ভারতেশ্বরী হোমসে যোগ দেন। এরপর থেকে কুমুদিনী পরিবারের সঙ্গে জড়িয়েছেন আত্মার সম্পর্কে। কুমুদিনীর আপদে–বিপদে তিনি আমাদের মাথার ওপর ছায়া হয়ে আছেন। ১৯৬৫ সালে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের কিছু আগে আমার শ্বশুরমশাই তাঁর সন্তানসম্ভবা কন্যা জয়া পতিকে লন্ডনে দেখতে যান। সে সময় তদানীন্তন সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে শত্রুসম্পত্তি ঘোষণা করে। তখন কুমুদিনী সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এই বিপদের দিনে প্রতিভা মুৎসুদ্দি দাঁড়িয়ে ছিলেন কুমুদিনীর পাশে। বুদ্ধি-সাহস দিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন আমার বড় ননদ বিজয়া খান ও জামাতা আইনজীবী শওকত আলী খান। শ্বশুরমশাই অত্যন্ত স্নেহ করতেন প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে। বিপদের দিনেও যে মেয়ে তাঁকে ছেড়ে যায়নি, সেই তো সত্যিকারের মা। তাই তাঁকে তিনি ‘মা’ সম্বোধন করেছিলেন। রাজীবকে আমি বড় মা ডাকতে শিখিয়েছিলাম। কুমুদিনীর নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি ‘বড় মা’। কেবল শিক্ষক, অধ্যক্ষ হিসেবেই সফল নন অনূঢ়া প্রতিভা মুৎসুদ্দি, এ ক্ষেত্রে একজন মা হিসেবেও সার্থক। তাঁর আশীর্বাদ রাজীবের পথ চলার পাথেয়।
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সবচেয়ে বড় অর্জন কী বলে মনে করেন? আর আপনার জীবনের?
শ্রীমতী সাহা: দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার অবর্তমানে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও স্বাধীনতার পর এই সংস্থার সম্প্রসারণ আমাদের বড় অর্জন। ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজস্ব কোনো অর্জন নেই, আমাদের সমস্ত অর্জন সমষ্টিগত।
এত মনোবল কীভাবে পেয়েছেন?
শ্রীমতী সাহা: দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার আদর্শ আমার মনোবল জোগাতে সহায়ক হয়েছে। কত মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করছেন সেটাই তো অনুপ্রেরণা। মনের শক্তি কুমুদিনীই।

শ্রীমতী সাহা, পরিচালক, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। ছবি: কবির হোসেন
শ্রীমতী সাহা, পরিচালক, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। ছবি: কবির হোসেন

আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ধরে রাখতে আগামী দিনগুলোতে কী করতে চাইছেন?
শ্রীমতী সাহা: চল্লিশ-পঞ্চাশ দশকের দিকে কুমুদিনী হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সেবা নিয়ে এসেছিল। তখনই ক্যানসারে আক্রান্তদের জন্য রেডিওথেরাপি দেওয়া হতো বিনা মূল্যে। তাই এখনো বিশেষ সেবার ক্ষেত্রে যেমন ক্যানসারের চিকিৎসাকে আরও সহজলভ্য, আধুনিক সেবা দেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য।
আমার ছেলে রাজীবের একটা স্বপ্ন আছে। ঢাকা শহরে অনেক শিশু বদ্ধ পরিবেশে থাকে। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। একধরনের মানসিক টানাপোড়েনে থাকে। মা-বাবাও সময় দিতে পারেন না। এমন একটা জায়গা থাকবে, যেখানে শিশুরা মা-বাবার সঙ্গে যাবে। সবুজের কাছে, প্রকৃতির কাছে। সেখানে একই সঙ্গে সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্যও জায়গা থাকবে, যাঁরা নাতি–নাতনিদের নিয়ে আনন্দ করতে চান। একটা পারিবারিক পরিবেশে পরস্পরের থেকে আনন্দ খুঁজে নেবে। রাজীবের জ্যাঠা দুর্গা প্রসাদ সাহা ‘মেন্টালি চ্যালেঞ্জড’ ছিলেন। তিনি মারা গেছেন। ও জ্যাঠার কথা মনে করে এটার কথা ভেবেছে।
এ ছাড়া ওষুধশিল্পে বিভিন্ন গবেষণার কাজ শুরু করা হয়েছে। আসলে কুমুদিনী হলো এমন একটা প্রতিষ্ঠান, যেখানে একটা মানবজীবনের পুরোটাই অতিবাহিত করা যায়। কুমুদিনী হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হয়ে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে এখানেই কাজের সুযোগ থাকে। আমাদের সঙ্গে পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন এমন অনেকজন আছেন।
আরেকটি বিষয় বলতে চাই, নারী অধিকার ও পরিবেশসচেতনতার দিকে আমরা সব সময়ই সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। কুমুদিনীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের উঁচু পদে নারীরা আছেন। নারীদের প্রকৃত অর্থে ক্ষমতায়ন করার চেষ্টা করছি সবাই মিলে। ভারতেশ্বরী হোমসে আধুনিকতার পাশাপাশি নৈতিকতা, দেশীয় সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধ যেন ঠিকমতো শিখতে পারে, সেই চেষ্টা সব সময়ই আছে। নদীর পানিতে যাতে দূষণ না হয়, সেজন্য আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পানি পরিশোধন করে থাকি।

কুমুদিনী হাসপাতাল
কুমুদিনীর সেবামূলক কার্যক্রম শুরু হয় স্বাস্থ্যসেবাদানের মাধ্যমে। কুমুদিনী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর ১৯৩৮ সালে স্থাপিত হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৪৪ সালে। বর্তমানে এর শয্যাসংখ্যা ৮৫০। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালে রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেওয়া হতো। ১৯৯৩ সাল থেকে ট্রাস্ট চিকিৎসার জন্য রোগীদের কাছ থেকে সামান্য খরচ নেওয়া শুরু করে। এখনো ভর্তি হওয়া রোগীদের থাকা-খাওয়া সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। মাসে গড়ে এখানে বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন ২৪ হাজার রোগী এবং ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা মাসে গড়ে ৩ হাজার ৬০০।

ভারতেশ্বরী হোমস
রণদা প্রসাদ সাহার স্ত্রী কিরণ বালা দেবী কুমুদিনী ১৯৩৮ সালে তিনি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে সম্পূর্ণ আবাসিক স্কুল হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৫ সালে। ১৯৬২ সালে ভারতেশ্বরী হোমসে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা চালু করা হয়। শিক্ষার্থীদের আসনসংখ্যা ১ হাজার ২০০। ভারতেশ্বরী হোমস থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২৩৪ জন এসএসসি এবং ৩ হাজার ৩৩৮ জন এইচএসসি পাস করেছে।

কুমুদিনী নার্সিং স্কুল
১৯৭৩ সালে কুমুদিনী নার্সিং স্কুলে বছরে ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য তিন বছর মেয়াদি নার্সিং ডিপ্লোমা কোর্স এবং ২০ জনের জন্য দেড় বছরের মিডওয়াইফারি কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে। কুমুদিনী নার্সিং কলেজে রয়েছে চার বছর মেয়াদি বিএসসি কোর্স এবং এক বছরের পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং কোর্স।

কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ দেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের আসনসংখ্যা এমবিবিএস কোর্সে ১১০ এবং ডেন্টাল বিভাগে ৪০। মোট আসনসংখ্যার অর্ধেক বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য।

noname
noname

রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৪ সালে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় নারায়ণগঞ্জের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজস্ব জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি, অর্থনীতি, আইন, বিবিএ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, ফার্মেসি ইত্যাদি বিভাগ রয়েছে। ছেলেমেয়ে উভয়ই এখানে পড়েন।

কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফটস সেন্টার
কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফটস সেন্টার চালু হয় ১৯৭৩ সালে। রণদা প্রসাদ সাহার দ্বিতীয় কন্যা জয়া পতি তখন ট্রাস্টের পরিচালক। সারা দেশে প্রায় ২৬ হাজার নারী এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

কুমুদিনী ট্রেড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
কুমুদিনী ট্রেড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। দরিদ্র পরিবারের তরুণদের বিনা খরচে এখানে এক বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্সে ভর্তি করিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিবছর ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ-বিদেশে চাকরির যোগ্যতা অর্জন করে।

জুট বেলিং অ্যান্ড ওয়্যারহাউস
১৯৪৫ সালে স্কটিশ প্রতিষ্ঠান জর্জ হ্যান্ডারসনের যাবতীয় পাট ব্যবসা ক্রয়ের সূত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় জুট বেলিং অ্যান্ড ওয়্যারহাউস। এখান থেকে দেশ-বিদেশে পাট রপ্তানি হয়ে থাকে।

কুমুদিনী গার্মেন্টস
কুমুদিনী গার্মেন্টসের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৪ সালে। ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে এখানকার উৎপাদিত পোশাক রপ্তানি করা হয়। কারখানার ৯৫ শতাংশ শ্রমিক নারী।

কুমুদিনী ফার্মা লিমিটেড
১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর উৎপাদন শুরু হয় ১৯৯৮-৯৯ সালে। নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে স্থাপিত এই কারখানায় বর্তমানে ৯৬ প্রকারের ওষুধ উৎপাদিত হয়।

তৌহিদা শিরোপা: সাংবাদিক।