বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে কাউকে ক্ষমা করবে না: মেনন

অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার চট্টগ্রামে লাল পতাকা মিছিল করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। ছবি: জুয়েল শীল
অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার চট্টগ্রামে লাল পতাকা মিছিল করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। ছবি: জুয়েল শীল

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে কাউকে ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের মুসলিম হলে অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ষড়যন্ত্র করতে পারে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, এই জোট ক্ষমতায় এলে দেশের কৃষি খাতের অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এখন পদ্মা সেতু হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। এসব খুবই আশার কথা। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। গরিব-বড়লোকের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। এ অবস্থায় চুপ করে বসা থাকা চলবে না। রুশ বিপ্লবের আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হচ্ছে। তরুণসমাজের সামনে স্বপ্ন নেই। এ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, ছোটখাটো দুর্নীতির জন্য নিচু সারির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধরা হলেও হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির জন্য বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর নাম দুদকের খাতায় ওঠেনি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, মহাজোট সরকারের আমলেও আয়বৈষম্যের সূচক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতি প্রীতি ত্যাগ করেননি। পাকিস্তান আমলে ২২ জন কোটিপতি ছিলেন। এখন আছেন ৫৪ হাজার। এই রাষ্ট্রকে বড়লোকের রাষ্ট্র হতে দেওয়া যাবে না। কৃষক-শ্রমিকদের রাষ্ট্র হতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, পুঁজিবাদ কখনো মানবজাতির শেষ ঠিকানা হতে পারে না। পুঁজিবাদ বৈষম্য দূর করতে পারবে না। বরং পুঁজিবাদের কারণে গুটিকয়েক মানুষের হাতে অধিকাংশ সম্পদ চলে গেছে। তাই সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন এখনো বিদ্যমান।

ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনা ও সভাপতি আবু হানিফের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি চন্দন দাশ, লেখক ও গবেষক শরীফ শমসির প্রমুখ।