জঙ্গি সোহেল মাহফুজের তিন দিনের রিমান্ড

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার জঙ্গি সোহেল মাহফুজ। ফাইল ছবি
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার জঙ্গি সোহেল মাহফুজ। ফাইল ছবি

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের তল্লাশিচৌকিতে হামলার আসামি নব্য জেএমবির নেতা সোহেল মাহফুজকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. ইকবাল মাহমুদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল মাহফুজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোহেল মাহফুজ ওরফে আবদুস সবুর খান ওরফে নসরুল্লাহ ওরফে হাত কাটা মাহফুজকে গত ৭ জুলাই তিন সহযোগীসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নব্য জেএমবির শূরা সদস্য এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের অন্যতম নেতা সোহেল মাহফুজ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদীপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, সোহেল মাহফুজ শোলাকিয়া হামলাসহ মোট ১১টি মামলার আসামি। সোমবার সকালে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় সোহেল মাহফুজকে কিশোরগঞ্জে আনা হয়। একই দিন মামলার অপর তিন আসামি বড় মিজান, আনোয়ার হোসেন ও জাহিদুল হক তানিমকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সোহেল মাহফুজের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছর ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ শুরুর আগ মুহূর্তে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে আজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে পুলিশের তল্লাশির সময় জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করে। এ ছাড়া তাদের চাপাতির কোপে দুই পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় আরও ১২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলে জঙ্গি আবির রহমান মারা যান। উভয় পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে নিজ বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক।