৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের আশা আইনমন্ত্রীর

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে রাত ১০টায় বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাজেস কমপ্লেক্স, কাকরাইল, ঢাকা, ১৬ নভেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে রাত ১০টায় বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাজেস কমপ্লেক্স, কাকরাইল, ঢাকা, ১৬ নভেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কিছু বিষয়ে যে মতপার্থক্য ছিল তা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।

আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করতে আইনমন্ত্রী রাতে কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিয়ার বাসভবনে যান। সেখানে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সবাই ছিলেন। এক ঘণ্টা ৫৩ মিনিট পর তিনি বেরিয়ে আসেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় পাঁচজন বিচারপতিই উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যেটা যুক্তিসংগত মনে হয়েছে সেটা সব পক্ষই মেনে নিয়েছে। এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমতি দিলেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালার চূড়ান্ত করতে কয়েক দফা সময় নেওয়ার পর গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ সময় মঞ্জুর করে ৫ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখেন। গত ৮ অক্টোবর আদালত বলেছিলে, ‘এটা (বিধিমালা) হওয়া দরকার। এটা নিয়ে বসা দরকার। কোথায় কোথায় আপত্তি আছে তা দেখা দরকার।’

এর আগে গত ৩০ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আহ্বান জানান। পরে ৩১ জুলাই আইনমন্ত্রী সরকার দলীয় আইনজীবীদের এক সমাবেশে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসবেন বলে জানান। তখন আইনমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় ওই বৈঠক হয়নি।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালার একটি খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। ওই বিধিমালা সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। ওই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করে তা দাখিল করতে গত বছরের ২৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ দফায় দফায় সময় নিয়েছে। সবশেষ সংশোধিত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে গত ২৭ জুলাই জমা দেয় আইন মন্ত্রণালয়, ওই খসড়া সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে হয়নি বলে জানায় আপিল বিভাগ।