যুবলীগ নেতার মাকে পুলিশের মারধরের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদককে গত বুধবার রাতে মাদকসহ গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। এ সময় বাধা দিলে পুলিশ তাঁর মাকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার যুবলীগের নেতার নাম টিপু সুলতান (৪০)। তিনি ঘোপপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর মা সালেহা বেগম (৫৮)। সালেহাকে মারধরের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তাঁর স্বামী সামছুদ্দিন বিশ্বাস।

সামছুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে বারোবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাঁদের বাড়িতে আসে। পুলিশ ঘুম থেকে তুলে টিপু সুলতানকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মামলা না থাকলেও কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানতে চান সালেহা বেগম। এ সময় পুলিশ তাঁর (সালেহা) ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা সালেহাকে মারধর করে আহত করে। তাঁকে ফেলে রেখে টিপুকে নছিমনে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এখন টিপুর কাছে পুলিশ ইয়াবা পেয়েছে বলে মামলা দিয়েছে।

সামছুদ্দিন বিশ্বাস আরও বলেন, তাঁর ছেলের কাছে কিছুই পায়নি পুলিশ। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরাও এগিয়ে আসেন। তাঁরাও উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান। পুলিশ কোনো উত্তর না দিয়ে চলে যায়। তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

টিপু সুলতানের ভগ্নিপতি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় তিনি শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। টিপু সুলতানকে পুলিশ যখন নিয়ে যায়, তখন তাঁর কাছে কিছুই পায়নি। অথচ পরে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে বলা হচ্ছে। এমনকি ইয়াবার মামলা দিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালেহা বেগম বলেন, ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি কারণ জানতে চেয়েছিলেন। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করে। তাঁর বুকে ও দুই পায়ে আঘাত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে এসআই বিকাশ কুমার বলেন, টিপু সুলতান বাড়িতে ইয়াবা কেনাবেচা করেন বলে তাঁরা খবর পান। তাঁকে বাড়ি থেকে আটকের সময় পলিথিনে মোড়ানো ১০টি ইয়াবার বড়িও পান। টিপুকে ধরে আনতে গেলে তাঁর মা সালেহা বেগম বাধা দেন। এ সময় ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে তিনি (সালেহা) আহত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁকে মারধর করা হয়নি।