র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী' নিহত

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় বন্দুকযুদ্ধের পর র‌্যাব সদস্যরা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। ছবি: প্রথম আলো
কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় বন্দুকযুদ্ধের পর র‌্যাব সদস্যরা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের মহেশখালীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোকারম হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‍্যাব জানিয়েছে, মোকারম ওরফে জাম্বু বাহিনীর প্রধান মোকারম হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ওই বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা আড়াইটায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ার পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে র‌্যাব সদস্যরা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ম্যাগাজিন, ১ হাজার ২১৫টি গুলি এবং ২৭টি গুলির খোসা উদ্ধার করে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে মোকারম তাঁর বাহিনীর লোকজন নিয়ে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ায় পূর্বপাড়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়েন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোকারম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে র‌্যাব সদস্যরা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ২৩টি ওয়ান শুটারগান, ২০টি অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ম্যাগাজিন, ১ হাজার ২১৫টি গুলি এবং ২৭টি গুলির খোসা উদ্ধার করে। বন্দুকযুদ্ধে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

র‌্যাব সদস্যরা জানিয়েছেন, মোকারম হোসেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জলদস্যু। তাঁর বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতার পাশাপাশি উপকূলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অপহরণ এবং চাঁদাবাজিসহ ১২টি মামলা রয়েছে। মোকারম সোনাদিয়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ এখলাসের ছেলে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৭-এর কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ রুহুল আমিন আজ সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলি মহেশখালী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।