শাহরাস্তিতে মিটারের জন্য টাকা আদায়

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মসৎপাড়া গ্রামে গ্রাহকদের বাড়িতে মিটার লাগানো হলেও তারা বিদ্যুৎ–সংযোগ পায়নি l ছবি: প্রথম আলো
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মসৎপাড়া গ্রামে গ্রাহকদের বাড়িতে মিটার লাগানো হলেও তারা বিদ্যুৎ–সংযোগ পায়নি l ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মসৎপাড়া গ্রামে মিটারপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিয়েও বিদ্যুৎ-সংযোগ পাচ্ছেন না ৪৫ জন গ্রাহক। এক ব্যক্তি ঠিকাদারকে দেওয়ার কথা বলে সাড়ে চার লাখ টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা দেওয়ার তিন বছর পরও বিদ্যুৎ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা।

ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার নাম করে ২০১৪ অক্টোবরে গ্রাহকদের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা উঠিয়ে নেন মসৎপাড়া গ্রামের আবদুল করিম। আবদুল করিম মিটার কেনা, বিদ্যুতের খুঁটি পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ বাবদ তাঁদের কাছ থেকে ওই টাকা তুলেছেন। অথচ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এসব খাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই।

আবদুল করিম টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা উঠিয়েছি। এসব টাকা বিদ্যুতের খুঁটি পরিবহনসহ অন্যান্য খরচের জন্য ঠিকাদারকে দিতে হয়েছে।’ এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ঠিকাদার ওয়াজেদ আলীর মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওই গ্রামের ডাক্তার বাড়ির গ্রাহক আতিক উল্লাহ বলেন, দুটি মিটারের জন্য তিনি আবদুল করিমকে ৪০ হাজার টাকা, একই এলাকার আয়েশা বেগম ১০ হাজার টাকা, কবিরাজ বাড়ির এক গৃহবধূ ১০ হাজার টাকা ও পারভিন বেগম ১০ হাজার টাকা দেন। এ ছাড়া একই বাড়ির আফরোজা বেগম টাকা না দিতে পারায় তাঁকে মিটার দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহকপ্রতি মাত্র ৬০০ টাকা জামানত ফি ও ৫০ টাকা সদস্য ফি ছাড়া কোনো টাকা আমরা নিই না। তবে ঠিকাদার বা কেউ যদি বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে থাকেন, তা আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব।’

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ওই গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন টানা হয়ে গেছে। শিগগিরই সেখানে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে।