ডাকসুর দাবিতে অনশনের ১০০ ঘণ্টা

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশন করছেন এই তরুণ। ছবি: প্রথম আলো
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশন করছেন এই তরুণ। ছবি: প্রথম আলো

অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করে হল সংসদগুলোকে কার্যকর ও দখলমুক্ত করার দাবিতে কর্মসূচি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

এই দাবিতে কাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জোটের নেতা-কর্মীরা। ডাকসুর দাবিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনশনকারী তরুণ ওয়ালিদ আশরাফের সাহসী পদক্ষেপের প্রতি একাত্মও তাঁরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হয়। বলা হয়, অনশনকারীর সঙ্গে তারা একাত্ম। ইতিমধ্যে স্মৃতি চিরন্তনে (উপাচার্যের বাসভবনের সামনে) সেই তরুণের অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার হয়েছে। এর মধ্যে তিনি শুধু পানি খাচ্ছেন। তাঁবু টানিয়ে ঘুমাচ্ছেন সেখানেই। ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কয়েকজন তাঁর সঙ্গে সেখানে অবস্থান করছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অনশনকারীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেয়াললিখন ও রোড পেইন্টিং করেছেন। স্মৃতি চিরন্তনের সামনের রাস্তায় লাল রঙের একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত এঁকে নিচে লিখেছেন, ‘ডাকসু দে...’।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার বিভিন্ন সময় অনশনকারীর প্রতি সংহতি জানিয়ে গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার, অধ্যাপক কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।