ভবন ধসে পড়ার আতঙ্ক নিয়েই বিদ্যালয়ে পাঠদান

দুর্গাপুরের ঝুঁকিপূর্ণ শিরবির প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন
দুর্গাপুরের ঝুঁকিপূর্ণ শিরবির প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিরবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ভবনধসে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কিন্তু বিকল্প কোনো উপায় না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চালাতে হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

সরেজমিনে গতকাল শনিবার দুপুরেদেখা গেছে, উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের শিরবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির ছাদের বিম ভেঙে যাওয়ায় প্রাক্‌-প্রাথমিকসহ চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। বিকল্প ভবন না থাকায় একদিকে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে যেকোনো সময় ভবনধসে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শঙ্কিত থাকতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজনকে।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রোকেয়া আক্তার বলে, ‘আমরা খুব ভয়ে ভয়ে ক্লাস করি। কয়েক দিন আগে শিশু শ্রেণির ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই হঠাৎ ওই ক্লাসের ছাদের প্রলেপ ভেঙে পড়ে। আওয়াজ শুনে আমরা দৌড়ে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে পড়ি।’

সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, এরইমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শীতেশ চন্দ্র পাল পরিদর্শন করে সাময়িকভাবে ক্লাস বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান বলেন, ‘ভবনটি সংস্কারের আবেদন পেয়েছি। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে এ বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। নিয়মিত পাঠদান চালাতে সাময়িক সময়ের জন্য একটি টিনশেড ঘর স্থাপনসহ দুটি কক্ষ করে দেওয়া হবে। আমরা নতুন ভবন নির্মাণের জন্য চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। শিগগির এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’