চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাতের জবানবন্দি

চট্টগ্রামে চার নারীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার এক ডাকাত আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই ডাকাতের নাম মিজান মাতুব্বর। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. আল ইমরান খানের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গতকাল সোমবার রাতে নগরের ইপিজেড থানার মাইলের মাথা এলাকা থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে।

চট্টগ্রামে চার নারীকে ধর্ষণের মামলায় এ নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মিজান ঘটনার বর্ণনা এবং জড়িত ব্যক্তিদের নাম বলেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার মিজান আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দিন চারজন ঘরে ডাকাতি করতে ঢুকেছিলেন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা ঘরের বাইরে ছিলেন। ঘরে ঢোকা চারজনের মধ্যে দুজন ধর্ষণ করেন। চারজন ডাকাতের মধ্যে দুজন ঢাকা থেকে এসেছিলেন। মিজান নিজেও ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। অন্যদের জন্য পারেননি। ডাকাতি করা মালামাল বিক্রির ১৩ হাজার টাকা তিনি ভাগে পান। ঘটনার দিন ভোররাতে স্থানীয় ওই বাসিন্দা তাঁদের আনোয়ারার চাতুরী-চৌমুহনী এলাকা দিয়ে ১৫ নম্বর ঘাট পার করে পতেঙ্গা এলাকায় পাঠিয়ে দেন।

সন্তোষ চাকমা আরও বলেন, গ্রেপ্তার মিজানের কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকার মধ্যে দুই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত আরও যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাঁদের কারও নাম মিজানের জবানবন্দিতে আসেনি।

১২ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়িতে ডাকাতির পর ডাকাতেরা চার নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার চার নারীর একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। ঘটনার পাঁচ দিন পর ১৭ ডিসেম্বর রাতে ডাকাতি ও ধর্ষণের শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় এর আগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলা হওয়ার পর কর্ণফুলী থানার পুলিশ এ মামলার তদন্ত করছিল। আজ দুপুরে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। অবশ্য ঘটনার পর থেকে পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছিল।

প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করায় কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন নারী সংগঠন। গত শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে নারী উন্নয়ন ফোরাম নামের একটি সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন থেকে থানার ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।