বর্জনের ঘোষণা বিএনপির, তবে 'না' বললেন প্রার্থী

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে পৌর বিএনপি। উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতা শাহ জাফরের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন সেখানে দলীয় প্রার্থী উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

তবে আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ভোট বর্জন করেননি। দলের কতিপয় নেতা-কর্মী শাহ জাফরকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘোষণা দিয়েছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিয়ার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান আব্বাস। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রচারণায় বাধা দেওয়ার পাশাপাশি বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। এ অবস্থায় নির্বাচন করা হলে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জুলুম-নির্যাতনের শিকার হবেন। এসব কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে পৌর নির্বাচন বর্জন করা হলো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বোয়ালমারী পৌর বিএনপির সভাপতি আফসারউদ্দিন আহমেদ, আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিয়া।

এ সম্পর্কে বিএনপির প্রার্থী আতাউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি নির্বাচনে আছি, থাকব। নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত লড়ে যাব। দলের কতিপয় নেতা-কর্মী আমার কাছ থেকে টাকাপয়সা না পেয়ে শাহ জাফরকে ভুল বুঝিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এর সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই।’

এ ব্যাপারে শাহ মো. আবু জাফরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। দলীয় প্রার্থী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন না। কিন্তু তাঁর সমর্থক ও কর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী খুব বেশি রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। তিনি (প্রার্থী) আমাকে বলছেন, “আমি দাঁড়াইছি, প্রত্যাহারের সময়ও নেই, তাই দাঁড়াইয়া থাকি।” তবে আমরা দলের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছি।’

আগামীকাল বৃহস্পতিবার নবগঠিত আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ পাঁচজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।