পারিবারিক হত্যা ও কিশোর অপরাধ

গুম আর জঙ্গি অভিযান ছাড়াও বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল ধর্ষণ, পারিবারিক সংকট আর কিশোর অপরাধ। এসব অপরাধের নৃশংসতার মাত্রা দেশের মানুষের মূল্যবোধ এবং মানবিকতাবোধকে নতুন করে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।

বছরের শুরুতেই উত্তরায় কিশোর আদনান কবিরের (১৩) হত্যার ঘটনাটি আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিশোরদের ‘গ্যাং কালচার’ নামে একটি নতুন ধারণার সঙ্গে পরিচয় ঘটে দেশবাসীর। ৬ জানুয়ারি আদনান কবিরের মৃত্যু হয় তারই সমবয়সী একদল বালকের হাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত হয় এবং সংবাদমাধ্যমের খররের শিরোনাম হয়। ভালো কলেজে ভর্তির কথা বলে ১৭ জুলাই এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বগুড়ার তৎকালীন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ তুফান সরকারসহ ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

সবচেয়ে নৃশংস ঘটনাটি ঘটে ২৫ আগস্ট। টাঙ্গাইলের পঁচিশ মাইলের কাছে একটি নির্জন জায়গায় বাস থেকে রূপার লাশ ফেলে দেওয়া হয়। ঘাতকেরা ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে তাঁকে হত্যা করে। ৩১ আগস্ট রূপার লাশ উত্তোলন করে তাঁর ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করা হয়।

পারিবারিক সংকটের জেরে খুনের ঘটনাও ছিল বছরজুড়ে। বছরের শেষ সময়েও আলোচনায় আছে ধর্ষণের ঘটনা এবং এ নিয়ে পুলিশের গড়িমসি। ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী ও তাঁদের এক বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

২০১৭ সালের ঘটনাক্রম নিয়ে ৫-এর পাতায় এ বিশেষ আয়োজন চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামীকাল ফিরে দেখা আয়োজনে থাকবে বিচার অঙ্গনের সারা বছরের ঘটনা